পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক - কি আছে পুদিনা পাতায়?

প্রিয় পাঠক আপনি যদি, পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক - কি আছে পুদিনা পাতায় এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। এছাড়াও পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকে আমি আপনাদের পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। 


 ফিচার ইমেজ ০১


বর্তমানে বাজারে পুদিনা পাতা সহজলভ্য হয়ে গেছে। তাই আপনারা খুব সহজেই বাজার থেকে পুদিনা পাতা সংগ্রহ করতে পারবেন। পুদিনা পাতা খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। পুদিনা পাতার শরবত অনেক জনপ্রিয় রেসিপি। এছাড়া পুদিনা পাতার ঘ্রাণ আমাদের মনকে সতেজ করে। আজকে আমরা পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক ও পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক

পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক

পুদিনা পাতা বর্তমান বাজারে অনেক সহজলভ্য হওয়ায়। আমরা সচরাচর পুদিনা পাতা নানা কারণে খেয়ে থাকি। তবে পুদিনা পাতাতে রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের শরীরকে নানারকম রোগ থেকে মুক্তি দেয়। প্রত্যেকটা জিনিসেরই কিছু না কিছু খারাপ দিক থাকে। 

পরিমাণে তুলনায় বেশি পুদিনা পাতার খাওয়ার ফলে নানা রকম জটিলতার সৃষ্টি হয়। যাদের গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা আছে তাদের পুদিনা পাতা খাওয়া যাবে না। পুদিনা পাতার রস ডায়াবেটিস রোগীর বিভিন্ন ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয় সৃষ্টি করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পুদিনা পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও মাঝেমধ্যে বমি বমি ভাব , মুখ জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। 

পুদিনা পাতার উপকারিতা জেনে নিন 

পুদিনা পাতা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদ। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পুদিনা পাতার অপকারিতা থেকে উপকারিতা অনেক বেশি। পুদিনা পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। আজকে আমরা পুদিনা পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। 

শুনে আচার্য হবেন যে, পুদিনা পাতায় থাকা পুষ্টি উপাদানের জন্য ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি দূর করা যায়। পুদিনা পাতায় এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যালকোহল থাকে যা ক্যান্সার কোষ কে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের সর্দি কাশির সমস্যা আছে তারা যদি পুদিনা পাতার রস সকাল বিকাল খেয়ে নেয়। তাহলে দুদিনের মধ্যে সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ১০ ঔষধি গুনাগুন দেখে নিন

অতিরিক্ত গরমে শরীর যখন অনেক ক্লান্ত। তখন পুদিনা পাতার এক গ্লাস শরবত যেন প্রশান্তি এনে দেয়।এছাড়া বিভিন্ন খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পুদিনা পাতার ব্যবহার করা হয়। চুলের উকুন মারার জন্য পুদিনা গাছের শিকড়ের ব্যবহার করা হয়। পুদিনা গাছের শিকড় পেস্ট করে চুলে লাগাবেন। এরপর সুতি কাপড় দিয়ে আপনার চুলকে এক ঘণ্টার মতো ঢেকে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

প্রতি ৭ দিনে দুইবার করে এই টোটকা ব্যবহার করুন। এভাবে এক মাস ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার মাথার চুলে একটা উকুনও নেই। আবার পুদিনার পাতা পুড়িয়ে , সেই ছাই দিয়ে দাঁত মাজলে।দাঁতের ফোলা ভাব ও দাঁতের ব্যথা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাওয়া যায়। 

ত্বকের যত্নে পুদিনা পাতা অনেক কার্যকরী। এটি ব্যবহারের নিয়ম হল, পুদিনা পাতা পেস্ট করে নিন। যদি আপনার মুখে ব্রনের সমস্যা থাকে তাহলে এই পেস্ট প্রতিদিন রাতে মুখে লাগান। এভাবে এক মাস লাগালে আপনার মুখের ব্রণ চলে যাবে।

আবার যাদের ত্বকে তেলতেলে ভাব রয়েছে। আপনাদের মুখে পুদিনা পাতার পেস্ট প্রায় 20 মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার মুখের তেলতেলে ভাব চলে যাবে। 

কি আছে পুদিনা পাতায়?

বর্তমান বাজারে পুদিনা পাতা খুবই স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায়। অর্থাৎ এটা আপনাদের হাতের নাগালেই আছে। পুদিনা পাতা অনেক প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। এর মধ্যে নানা রকম পুষ্টিগুণ থাকায় আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। চলুন আজকে জেনে নেব, কি আছে পুদিনা পাতায়? কেনই বা পুদিনা পাতার রস খেলে আমাদের এত উপকার মিলে?

পুদিনা পাতার মধ্যে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট, প্রাকৃতিক অ্যালকোহল ও আরো নানা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। পুদিনা পাতার রস খেলে, বমি বমি ভাব দূর হয়ে যায় , বদহজম দূর হয়, গ্যাসের সমস্যা দূর হয় , ব্রণের সমস্যা দূর হয় আরো নান রকম সমস্যা দূর করে। 

পুদিনা পাতার জুসের উপকারিতা

আপনারা বাজারে খুব সহজেই পুদিনা পাতা পেয়ে যাবেন। পুদিনা পাতার এত উপকারিতা রয়েছে যে  বিশেষজ্ঞরা পুদিনা পাতা কে মহা ঔষধ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে পুদিনা পাতার জুস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আজকে আমি এই অংশটুকুতে পুদিনা পাতার জুসের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। 


ফিচার ইমেজ ০২  


পুদিনা পাতার রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এসিড  শরীরে থাকা এলার্জির উপশম ঘটায়। তাই আপনাদের যদি কারো এনার্জি সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন পুদিনা পাতার জুস খাবেন।ক্যান্সার সমস্যায় পুদিনা পাতার জুস অনেক কার্যকরী। তাই ক্যান্সার রোগীদের জন্য পুদিনা পাতার রস হতে পারে মহা ঔষধ। 

এছাড়াও অতিরিক্ত গরমে শরীর যখন অনেক ক্লান্ত। তখন এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সাথে পুদিনা পাতার জুস আপনাকে এনে দিবে স্বর্গীয় সুখ। গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় পুদিনা পাতার জুস অনেক উপকারী।মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য পুদিনা পাতার জুস অনেক উপকারী। পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য এর জুস খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়ে যায়। ফলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। 

পুদিনা চা এর উপকারিতা

পুদিনা পাতা হলো সকল রোগের মহা ঔষধ। পুদিনা পাতায় থাকা পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এখন আপনি পুদিনা পাতা যেভাবেই খান সেটা আপনাকে উপকার দিবেই। অনেকে আছে পুদিনা পাতার জুস পছন্দ করে। আবার অনেকে আছে পুদিনা পাতার চা পছন্দ করে। চলুন জেনে নেয়া যাক পুদিনা পাতার চায়ের উপকারিতা। 

চা এমনিতেই মাথা ব্যাথা দূর করে, মাইন্ড রিফ্রেস করে। সেটা হোক লাল চা অথবা পুদিনা চাচ। তবে অন্যান্য চায়ের চেয়ে পুদিনা পাতার চায় রয়েছে নানা উপকারিতা। অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা হয়। দেখা যায় এমন কিছু খেয়ে ফেলে যার ফলে বদহজম ও গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এমন সময় আপনারা চাইলে কোন উপকার গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে পুদিনা পাতার চা খেতে পারে। 

আরও পড়ুনঃ বাসক পাতার ১০টি উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন দেখে নিন

আবার যারা মাইগ্রেনের রোগী রয়েছেন তাদের জন্য পুদিনা পাতার চা সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ স্বরূপ। কারণ যারা মাইগ্রেন রোগী আছেন তারা সবাই জানেন যে মাইগ্রেনের ব্যথা (মাথা ব্যথা) কতটা যন্ত্রণা দেয়। এরকম সময় আপনারা টোটকা হিসেবে পুদিনা পাতার চা অনেক উপকারী। অনেকেই আছে যারা নিয়মিতভাবে পুদিনা পাতার চা পান করায় মাথা ব্যাথা একদম ঠিক হয়ে গেছে। 

অনেকেই আছেন যারা খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করে না। এতে করে মুখের ভিতরে থাকা খাদ্য কনা দীর্ঘক্ষন থাকার ফলে ছত্রাকের সৃষ্টি করে। এর ফলে মুখ থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হয়। আবার  জিব্বা তে ঘা এর সৃষ্টি হয়ে যায়। এরকম অবস্থায় পুদিনা পাতার চা খেলে মুখের দুর্গন্ধ সহকারে ঘাও দূর হয়ে যায়। 

তাহলে আপনারা বুঝতে পেরেছেন পুদিনা পাতা আসলে কতটা উপকারী। একদিকে যেমন উপকারী অন্যদিকে অনেক সহজলভ্য। এ কারণে সকল শ্রেণীর মানুষ পুদিনা পাতা সংগ্রহ করতে পারে। তাই আপনাদের উচিত পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। 

রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার

পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টি ইনফ্লেমেটরি। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি সুস্থ রাখে। কিন্তু আপনারা কি জানেন রূপচর্চায় পুদিনার ব্যবহার কিভাবে করতে হয়? চলুন আজকে রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেই। 

আপনাদের অনেকেই চোখের নিচে কালো দাগ হয়ে যায়। আর এই কালো দাগ হওয়ার মূল কারণ হলো রাতে না ঘুমানো বা অনেক দেরি করে ঘুমানো। এটা আজকালকার ছেলে মেয়েদের কাছে খুবই স্বাভাবিক। কারণ তারা ঘুম আসে অনেক দেরি করে। কিন্তু কেউ কেউ হতে পারে অসুস্থতা অথবা টেনশনের কারণে। 

চোখের নিচের কালো দাগ কিভাবে দূর করব। প্রথমে পুদিনা পাতার পাতা নিয়ে নিন। এরপর এটাকে ভালোভাবে পেস্ট (বেটে)করে নিন। এরপর প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কালো হওয়া যায়গায় লাগিয়ে দিন। এভাবে কিছুদিন লাগালে দেখবেন কালো দাগ দূর হয়ে গেছে। 

অনেকেরই মুখে ব্রণ দেখা যায়। আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেন, কেন মুখে ব্রণ বের হয়? ব্রণ প্রতিরোধে কি করব, উপায় কি? আমি বলব উপায় আছে। ব্রণ অনেক কারণেই হয়ে থাকে। সেটা হতে পারে আপনার হরমোনাল সমস্যা অথবা অন্য কোন সমস্যা। আজকে আর ব্রণ কেন হয় এ প্রশ্নে না যাই।আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো ব্রণ হলে কি করবেন।


ফিচার ইমেজ ০৩ 


সমস্যা দূর করার জন্য পুদিনা পাতার ব্যবহার অপরিহার্য। প্রথমে আগের মতই পুদিনা পাতার পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর আপনার মুখের যেখানে ব্রণ বের হয়েছে সেখানে এই পেস্ট লাগান। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে টানা কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলে আপনার ব্রণ একদম দূর হয়ে যাবে। 

এছাড়াও যাদের মুখে ডার্ক সার্কেল, মেছতা ও এলার্জির ভাব দেখা যায়। তারা চাইলে পুদিনা পাতা পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে দিতে পারে।  কিছু সময় পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে এরকম সমস্যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। 

চুলের যত্নে পুদিনা পাতার ব্যবহার

পুদিনা পাতার বহুমুখী উপকারিতার জন্য বিশেষজ্ঞ পুদিনা পাতা কে মহা ওষুধ বলে ধারণা করেছেন।যার এত গুণ তার তো সুনাম থাকবেই। এতক্ষণ আপনারা জানলেন পুদিনা পাতা কিভাবে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয় ও পুদিনা পাতার জুস ও চায়ের ব্যাপারে। এখন আপনাদের আমি জানাবো চুলের জন্য পুদিনা পাতা কতটা উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যায়। 

পুদিনা পাতা দিয়ে হেয়ার প্যাক বানানো যায়। যা মেয়েরা অনেক ভালো করেই জানেন। হেয়ার পাকের নাম আসলেই আমাদের মধ্যে ধারণা চলে আসে তাহলে বুঝি অনেক খরচের ব্যাপার। কিন্তু আসলেই কি তাই? মোটেও না। প্রথমে কয়েকটা পুদিনা পাতা নিয়ে নিন। এরপর পুদিনা পাতা কে ভালোভাবে বেটে বা পেস্ট করে নিন। 

আরও পড়ুনঃ হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম দেখে নিন

পেস্ট করা পুদিনা পাতার সাথে দুই চা চামচ টক দই ও এক চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেল আপনাদের দামি হেয়ার প্যাক। এই হেয়ার প্যাক আপনার চুলে ভালোভাবে মশ্চারাইজ করুন। বিশ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন। দেখবেন চুল তার হারানো যৌবন ফিরে পেয়েছে। 

আবার অনেকের মাথায় অনেক উকুন দেখা যায়। অনেক কিছু করেও এই উকুন কমাতে পারছেন না।আপনারা কি জানেন এই সমস্যার সমাধানও পুদিনা পাতাতেই আছে। এজন্য প্রথমে আবার আগের মতই পুদিনা পাতা পেস্ট করে নিন। পেস্ট করা পুদিনা পাতা আপনার চুলে ভালোভাবে  লাগান। এরপর সুতি কাপড় দিয়ে চুল ভালোভাবে ঢেকে নিন। এভাবে কিছুক্ষণ রাখার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

এভাবে প্রতি ৭ দিনে ২ বার করে লাগাতে হবে। ১৫ থেকে ২০ দিন পর আপনি নিজেই ফলাফল অনুভব করতে পারবেন। তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন পুদিনা পাতা চুলের জন্যও কতটা উপকারী। শুধু দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা। 

রান্নায় পুদিনা পাতার ব্যবহার

পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকায় আমরা এটাকে রান্নার কাজে ব্যবহার করি। বিশেষ করে মাংস রান্নার সময় পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। আবার মাছ রান্না করার সময়ও। এই পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। আসলে রান্নার প্রায় শেষের দিকে এসে এই পুদিনা পাতা উপরে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে রান্নার স্বাদ দ্বিগুন বেড়ে যায়। 

আবার বিভিন্ন প্রকার সালাদ বানাতে পুদিনা পাতার ব্যবহার করা হয়। আপনারা অনেকেই বার্গার পছন্দ করেন। বার্গারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য পুদিনা পাতার ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া শাকসবজি রান্নার সময় পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। কারণ পুদিনা পাতাতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান। 

আপনারা অনেকেই পুদিনা পাতার জুস পছন্দ করেন। গরমে যখন শরীর ক্লান্ত। তখন এক গ্লাস পুদিনা পাতার জুস শরীরে প্রশান্তি যোগায়। এছাড়াও খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে খাবারের উপরে পুদিনা পাতা পরিবেশন করা হয়। 

পুদিনা পাতা যেসব রোগের প্রতিষেধক

পুদিনা পাতায় থাকা পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। এটি যে আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারী তা আশা করি আপনারা এতক্ষণে বুঝে গেছেন। এখন আমরা জানবো পুদিনা পাতা যেসব রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে সে সম্বন্ধে। 

পুদিনা পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে দেয়। যার ফলে শরীরের রক্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। আবার পেটের গ্যাসীয় সমস্যা দূর করতে পুদিনা পাতা ব্যবহার অপরিহার্য।ক্যান্সারের মতো মরণশীল রোগ দূর করতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। 

অনেক সময় শরীরের বদহজম দেখা যায়। আপনারা এমন কিছু খেয়ে ফেলেন যার জন্য হজম হতে চায় না। পুদিনা পাতা খেলে বদহজম দূর হয়ে যায়। আবার আপনাদের ত্বকের নানা জটিলতার সমস্যা যেমন; ব্রণ, মেস্তা, এলার্জি ইত্যাদি সমস্যা সমাধান দিয়ে থাকে। 

লেখকের মন্তব্য

উপরের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে করে থাকেন। তাহলে আপনাদের নতুন করে কোন কিছু জানানোর নেই। কারণ আপনারা ইতোমধ্যে পুদিনা পাতা ক্ষতিকর দিক, পুদিনা পাতার উপকারিতা, পুদিনা পাতার নানা ব্যবহার সহ অনেক তথ্য জেনে গেছেন। 

তবে আমার মন্তব্য থাকবে, পুদিনা পাতার যতটুকু ক্ষতিকর দিক আছে তার থেকে বহুগুণ বেশি উপকারিতা আছে। তাই উপরোক্ত পদ্ধতিতে আপনারা চাইলে পুদিনা পাতা ব্যবহার এবং খেতে পারেন।তবে বেশি ভালো হয় যদি আপনারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন। 

উপরোক্ত আলোচনায় আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে। তাহলে আপনারা অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনাদের কারো কাছে যদি মনে হয় কোথাও কোন ভুল আছে বা কিছু যোগ করা দরকার। তাহলে তা কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এতে করে পরবর্তী আর্টিকেলগুলো আমি আরো নির্ভুলভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। 





























































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

gotechbd এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url