আপাং গাছ - ১০টি উপকারিতা এবং ঔষধি গুণাবলী
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, আপাং গাছ কি? আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাঁধলে কি হয়? আপাং গাছের শিকড়ের উপকারিতা ? প্রাচীনকাল থেকেই আপাং গাছ বহুল পরিচিত ভেষজ ঔষধ হিসেবে। আপাং গাছের শিকড় থেকে শুরু করে পাতা ও ফুল সবই ওষধি গুনে ভরা। আপাং গাছকে তাই মহা ঔষধি গাছ বলা হয়।
পোস্ট সূচীপত্রঃ আপাং গাছের ১০টি উপকারিতা
- আপাং গাছের ১০টি উপকারিতা
- আপাং গাছ পরিচিতি ও কোথায় পাওয়া যায়
- আপাং গাছের প্রাকৃতিক পুষ্টী উপাদান
- আপাং গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- আপাং গাছের প্রকারভেদ ও চেনার উপায়
- আপাং গাছ চাষের পদ্ধতি জেনে নিন
- আপাং গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব জেনে নিন
- আপাং গাছ সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম
- আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাঁধলে কি হয়
- আপাং গাছের অপকারিতা দেখে নিন
- লেখক এর মন্তব্য সম্পর্কে জানুন
আপাং গাছের ১০টি উপকারিতা
নানা ঔষধি গুনে ভরপুর আপাং গাছ। আপান গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এই গাছের শিকড়, ফুল, পাতা ও কান্ড সবই ওষধি গুনে ভরা। আপাং গাছ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী। আপাং গাছকে মহা ঔষধি গাছ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এখন আমরা আপাং গাছের দশটি উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
- শ্বাসকষ্ট কমাতে আপাং গাছ ব্যবহার করা হয়। আপাং গাছের পাতা সর্দি কাশি ও ঠান্ডা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
-
ত্বকের সমস্যা দূর করতে আপাং গাছ অনেক কার্যকরী। ত্বকের মধ্যে
ব্রণ, মেস্তা ও কালো দাগ দূর করে ত্বককে সুস্থ রাখে। আপাং
গাছে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল পুষ্টী উপাদান যা ছত্রাক নিরাময়ে
কাজ করে।
-
আপাং গাছে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে দেয়। যার
ফলে শরীরের রক্ত পরিষ্কার থাকে।
-
আপাং গাছ থেকে তৈরিকৃত ঔষধ যা অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট জনিত
সমস্যার সমাধান করতে পারে।
-
আপাং গাছের শিকড় ভালোভাবে বেটে
মাথায় লাগালে চুল পড়া রোধ করে। এছাড়াও চুলকে আরো কালো ও মজবুত
করে।
-
অকাল প্রসব ও গর্ভপাত রোধ করার জন্য আপাং গাছের শিকড় ব্যবহার করা হয়।
-
কোথাও কেটে ফেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আপাং গাছের পাতার রস লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ
হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে পাতা রস পরিমাণ একটু বেশি থাকতে হবে।
-
জ্বরের সমস্যা আপাং গাছ অনেক ভালো কাজ করে। ঘন ঘন জ্বর আসলে আপাং গাছের পাতার রস করে খেয়ে নিলে জ্বর ভালো হয়ে যায়।
-
দাদ ও চুলকানি সমস্যা দূর করতে আপাং গাছ ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে আপাং গাছ
শুকিয়ে তার সঙ্গে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে, দাদ এবং
চুলকানি পাঁচ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
-
আপাং গাছ বিষাক্ত পোকামাকড়ের বিষ নষ্ট করতে ব্যবহার করা
হয়। এছাড়াও পাগলের চিকিৎসায় আপাং গাছ অনেক উপকারী।
আপাং গাছ পরিচিতি ও কোথায় পাওয়া যায়
আপাং গাছ সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পাওয়া যায়। বহু আগে থেকেই আপাং গাছ ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপাং গাছের বৈজ্ঞানিক নাম "Achyranthes Aspera" আপাং সাধারণত দুইটি রংয়ের হয়ে থাকে। আপাং হল হারব জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছ এক মিটারের মত লম্বা হয়ে থাকে। এর শাখা প্রশাখা চারদিকে ছড়ানো। এবং আপাং গাছের মাথায় লম্বাটে কাঁটাযুক্ত ফুল থাকে।
আপাং গাছের ফুল, পাতা ও শিকড় সবই ঔষধি গুনে ভরপুর। এবার আসা যাক, এই আপাং গাছ কোথায় পাবেন। এই গাছ মূলত পাহাড়ি অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে পাওয়া যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই আপাং গাছ বেশি জন্মে থাকে। আপাং গাছ বাজারে সহজলভ্য নয়।
তবে আয়ুর্বেদিক ভেষজ ঔষধি দোকানে আপাং গাছ পেয়ে যাবেন। শুকনো আপাং গাছের শিকড় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যায়। আপাং গাছের পাতা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যায়। তাহলে বুঝতেই পেরেছেন আপনারা এই মহামূল্যবান গাছটি কোথায় থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
আপাং গাছের প্রাকৃতিক পুষ্টী উপাদান
আপাং গাছ প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানে। এই গাছের পাতা, শিকড় ও বীজে রয়েছে প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান। যা রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আপাং গাছ খেলে শরীর সুস্থ থাকে। আজকে আমরা আপাং গাছের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব। চলুন দেরি না করে শুরু করে দেই।
আরও পড়ুনঃ অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ঔষধি গুনাগুন দেখুন
এই গাছে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীর
থেকে টক্সিন দূর করে। শরীরের রক্তকে পরিষ্কার করে। ত্বকের সমস্যা দূর
করে। ত্বকের কোষকে উজ্জ্বল করে এবং বার্ধক্য নিরূপণ করে। এই গাছের
শিকড়ে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম ও
আয়রন। এই উপাদানগুলো শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
এছাড়াও আপান গাছে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি শরীরের প্রদাহ কমায়। ফলে
শরীরে থাকা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। আবার এই গাছের পাতার চা
মানব শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চা এর মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণের জন্য শরীর সতেজ
থাকে। এছাড়াও আপাং গাছে আরো নানা রকম পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
আপাং গাছের শিকড়ের উপকারিতা
এই গাছের শিকড় থেকে শুরু করে ফুল পর্যন্ত সবই ভেষজ গুনে ভরপুর। এ গাছের শিকড়ে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা মানব শরীরের জন্য ব্যাপক কার্যকরী। আগে আমাদের জানতে হবে আপাং গাছের শিকড়ে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই গাছের শিকড়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি।
প্রাচীনকাল থেকেই আপাং গাছের শিকড় ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই গাছের শিকড় খেলে শরীরের প্রদাহ কমে যায়। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দূর হয়। সর্দি কাশি ঠিক হয়ে যায়। যাদের ত্বকে নানা রকম দাগ ও ব্রণ বের হয় তাদের আপাং গাছের শিকড় খাওয়া দরকার।
ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করে এই গাছের শিকড়। এছাড়াও যাদের
বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা আছে। তাদের আপাং গাছের শিকড় প্রক্রিয়াজাতকরণ
করে খাওয়া দরকার। এই গাছের শিকড় আপনারা আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকানে পেয়ে
যাবেন। ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে পেয়ে যাবেন। অঞ্চল ভেদে এই দাম
সামান্য কমবেশি হতে পারে।
আপাং গাছের প্রকারভেদ ও চেনার উপায়
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আপাং গাছ পাওয়া যায়। মূলত এই গাছ পাহাড়ে
অঞ্চলে বেশি জন্মে। বাংলাদেশে পার্বত্য
চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলার পাহাড়ি এলাকায়
আপাং গাছ বেশি পাওয়া যায়। তবে এই গাছ মূলত দুই প্রকার।
- লাল আপাং গাছ
- সাদা আপাং গাছ
লাল আপাং গাছ চেনার অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য আছে। লাল আপাং গাছের পাতা লাল এবং শিকড় ও বাকোল লালচে রঙের। এই গাছের ফুল উজ্জ্বল লাল ও গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। লাল আপাং গাছ চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এই গাছের ফুল। লাল আপাং গাছের রস ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।
এবার সাদা আপাং গাছ কিভাবে চিনব। সাদা আপাং গাছের পাতা সবুজ রঙের। এছাড়াও এর গাছ ও শিকড় হালকা বাদামী রঙের। এই গাছের ফুল লাল ফুলের থেকে আলাদা। তাই আপনারা খুব সহজেই লাল ও সাদা আপাং গাছ চিহ্নিত করতে পারবেন। তবে উভয় গাছেই রয়েছে প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান ও সমান ভেষজ গুণ।
আপাং গাছ চাষের পদ্ধতি জেনে নিন
আপাং গাছ মূলত পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মে। তবে এই গাছ চাষবাদ করা যায়। আপাং গাছ চাষাবাদের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটা উর্বর ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জমি নির্বাচন করতে হবে। জমিতে থাকা সকল আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এরপর এই জমিতে পানি দেওয়া যাবে কিনা সেই দিক খেয়াল রাখতে হবে। জমিতে সেচ দিতে হবে।
এবার বীজ বপণের পালা। আপাং গাছের বীজ বাজার থেকে অথবা প্রাকৃতিকভাবে সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহকৃত বীজ মাটির দুই থেকে চার ইঞ্চি গভীরে লাগাতে হবে। এরপর পানি দিয়ে সেচ দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেচের পানি যেন বেশি না হয়। তাহলে কিন্তু গাছ পচে যাবে। আপাং গাছে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন জমিতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পৌঁছাতে পারে।
আপাং গাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব জেনে নিন
আপাং গাছে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে আপাং গাছের চাহিদা অনেক বেশি। বিশেষ করে ভারত ও চীনে এই গাছের পাতা, ফুল ও শিকড় রপ্তানি করা হয়। আমাদের দেশের কৃষকরা আপাং গাছ চাষ করে অনেক টাকা আয় করছেন।
এই গাছ থেকে বিভিন্ন প্রসাধনী, তেল ও সাবান তৈরি করা হয়। যা সম্পূর্ণ
অর্গানিক হওয়ায় এর চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। এছাড়াও আপাং গাছে
ভেষজ গুনাগুন থাকায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর ব্যাপক চাহিদা
রয়েছে। আর দিন দিন এই গাছের শিকড়, পাতা ও ফুলের দাম বেড়েই
চলেছে। কিন্তু এইটা চাষ করার জন্য খরচ খুবই কম। তাই চাষীদের জন্য এই
সেক্টরটি হতে পারে আয়ের বিশাল সম্ভাবনা।
আপাং গাছ সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম
আপাং গাছে রয়েছে নান রকম পুষ্টিগুণ। এই গাছকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে এর থেকে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। কারণ আপাং গাছে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আন্টি ইনফ্লেমেটরি। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তা এখন আমরা জানবো আপাং গাছ সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম।
আপাং গাছের পাতা থেকে তৈরি চা অনেক উপকারী। এ চায়ের মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি। বদহজম দূর করে ও শরীরকে সুস্থ রাখে। আপাং গাছের শিকড়ের রস বাত ব্যথা নিরাময় করে। এজন্য শিকড়ের রস বের করুন এবং নিয়ম মত ভাবে সেবন করুন। ত্বকের ক্ষত ও ফোলা ভাব থাকলে আপাং গাছের পাতা ও শিকড় বেটে ওই স্থানে লাগিয়ে নিন।
আপাং গাছ থেকে এক ধরনের তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বের করা যায়। যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এবং এই তেল ও জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে চুলের মশ্চেরাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুল ঘন ও কালো হয়। তাহলে বুঝতে পেরেছেন আপাং গাছের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে।
আপাং গাছের শিকড় কোমরে বাঁধলে কি হয়
নানা রকম ভেষজ গুনে ভরা আপাং গাছ মানব শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তাইতো বহু আগে থেকেই এর ব্যবহার রয়েছে। যৌন সমস্যায় আপাং গাছের শিকড় ম্যাজিক এর মত কাজ করে। তবে এর নিয়ম কানুন রয়েছে। আজকে চলুন জেনে নেই আপাং গাছের শিকড় থেকে কিভাবে যৌন সমস্যা দূর করা যায়।
যাদের দ্রুত বীর্যপাত, পাতলা বীর্যপাত, কম বীর্যপাত, বীর্যপাত
বন্ধ ছাড়াও এ জাতীয় নানারকম সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের জন্য আপাং গাছের
শিকড় মহা ঔষধ। প্রথমে লাল আপাং গাছের শিকড় সোমবার দিনে সংগ্রহ
করুন। এরপর পরবর্তী দিন মঙ্গলবারে এই শিকড় কোমরে যে কোন সুতা দিয়ে বেঁধে
রাখুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সব সমস্যা দূর হয়ে যাচ্ছে।
আপাং গাছের অপকারিতা দেখে নিন
প্রতিটি উপকারী ভেষজ গাছেরই অপকারিতা থাকে। তবে আপাং গাছের অপকারিতা নেই বললেই চলে। তারপরেও এই গাছের কিছু অপকারিতা রয়েছে। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো আপাং গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন জেনে নেয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক দেখে নিন
আপাং গাছ অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহারের ফলে বমি বমি ভাব, পেটের সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের আপাং গাছ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আপাং গাছ খাওয়া যাবে না। আবার স্তন্যদানকারী মহিলা যদি আপাং গাছ খায় তাহলে শিশুর জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য সম্পর্কে জানুন
উপরের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ে
থাকেন। তাহলে আপনারা জেনে গেছেন আপাং গাছ কি, এর উপকারিতা, ঔষধি
গুণাবলী ও নানা ব্যবহারবিধি সম্পর্কে। তাই আপনাদেরকে নতুন করে আমার আর
কোন কিছু জানানোর নেই।
তবে আমার মন্তব্য হলো, যেহেতু আপাং গাছ ভেষজ গুনে ভরপুর। তাই
আমাদের উচিত এর ব্যবহার মেনে সঠিকভাবে সেবন করা। তাহলে অনেক বেশি
উপকারিতা পাওয়া যাবে। কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত
অন্যান্য সবাই উপরের নিয়মে খেতে পারবেন।
উপরের আলোচ্য বিষয়ে যদি আমার কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে, আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনার কাছে যদি মনে হয় কোন কিছু যুক্ত করা দরকার বা বাদ দেওয়া দরকার তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এতে করে আমি পরবর্তী আর্টিকেলগুলো আরো নির্ভুলভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ!
gotechbd এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url