কোটি টাকা আয় করার ১০০% কার্যকরী উপায়

 

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেন, কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় - কোটি টাকা আয় করার উপায়? আজকে আমি এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অনলাইনে টাকা ইনকাম করা এখন আর আকাশ কুসুম কল্পনা নয়। দিন ও রাতের মতোই সত্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে কোটি টাকা আয়ের উপায় নেই আলোচনা করব। 

কোটি-টাকা-আয়-করার-উপায়

কোটি টাকা আয় করার কয়েকটা উপায় আছে। যেমন; ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং, ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম,  ইউটিউব মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ই কমার্স বিজনেস, মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম, শেয়ার বাজার ও ছোটখাটো ব্যবসা ইত্যাদি থেকে কোটি টাকায় করা সম্ভব। চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়

কোটি টাকা আয় করার উপায়

কোটি টাকা আয় করার জন্য দরকার ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম ও তীব্রচেষ্টা। কোটি টাকা আয় করার কথা ভাবলেই মাথায় চলে আসে ব্যবসার কথা। কিন্তু ব্যবসা করতে আপনার দরকার হবে অনেক পুঁজির। যদি আপনার কাছে সেই রকম পুঁজি থাকে তাহলে আপনি ব্যবসা করতে পারেন। আর যাদের পুঁজি নেই , তারা কি কোটি টাকা আয় করতে পারবেনা? 

অবশ্যই পারবে। কোটি টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে জানতে হবে সঠিক নিয়ম ও সঠিক দিক নির্দেশনা। 

প্রথমেই আসি যাদের পুঁজি আছে তাদেরকে নিয়ে। আপনারা চাইলে যে কোন ব্যবসা করতে পারেন।তবে প্রথমে আপনাদেরকে সিলেক্ট করতে হবে কোন ধরনের ব্যবসা করতে আপনি আগ্রহী। যদি আপনারা আগে থেকেই ভেবে থাকেন কোন ধরনের ব্যবসা করবেন। তাহলে অনেক ভালো। আর যদি সেরকম কোন কিছু না ভেবে থাকেন। তাহলে আমার নিজস্ব পরামর্শ থাকবে, অনলাইন সম্পর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো। 

আপনারা অনেকেই ভাবছেন যে অনলাইন বিজনেসই কেন? আপনারা অনেকেই "ঘরের বাজার" প্ল্যাটফর্মের নাম শুনে থাকবেন। এছাড়াও আরো অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের নাম শুনে থাকবেন। তাদের মাসিক ইনকাম কোটি টাকার উপরে। আপনারা চাইলে তাদের স্ট্যাটেজি ফলো করতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃ ০১ 

আপনারা যেই ব্যবসাই করেন, সেই ব্যবসাটির পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে হবে। এতে করে আপনার বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তাহলে আপনার লাভের পরিমাণও বেড়ে যাবে। কিন্তু প্রথম দিকে আপনাদের অনলাইনে বিক্রির পরিমাণ কম থাকবে। তবে হতাশার কিছু নেই, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই বিক্রির পরিমাণ বেড়ে কয়েকশ গুন হয়ে যাবে। 

এবার আসা যাক যাদের ব্যবসা করার পুঁজি নেই তাদেরকে নিয়ে। আপনাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হবে সব থেকে বেস্ট অপশন। আপনারা মাঝে মধ্যেই খবর পত্রিকায় অনেক ফ্রিল্যান্সারের কথা শুনে থাকবেন।তাদের ইনকাম কোটি টাকার উপরে। আপনারাও চাইলে কোটি টাকা আয় করতে পারেন। 

এর জন্য আপনাদের প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ভালোভাবে শিখতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কয়েকটা ভাগ আছে যেমন; ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। এগুলো থেকে আপনি যেকোনো একটা সেক্টরে কাজ করতে পারেন। আবার কেউ চাইলে সবগুলো নিয়ে কাজ করতে পারে না। আমার নিজের পরামর্শ থাকবে, প্রথমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করতে পারেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কোটি টাকা আয় করা খুব বড় কিছু না। আপনারা অনেকেই মার্কেটিং এর সাথে পরিচিত। মার্কেটিং শব্দের অর্থ হলো বিক্রি করা। আগের যুগে মানুষ দ্বারে দ্বারে গিয়ে মার্কেটিং করত। কিন্তু বর্তমান যুগে মানুষ ঘরে বসেই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং করে। আর আপনাকে হতে হবে ডিজিটাল মার্কেটার। 

ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম 

অনলাইন থেকে ইনকাম করা এখন আর কঠিন বিষয় না। কোটি টাকা আয় করার সহজ মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম। ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাদের সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সিং ভালোভাবে শিখতে হবে। এর জন্য আপনাদের ভালো বিশ্বাসযোগ্য আইটি সেন্টারে ভর্তি হতে হবে। 

ধরলাম আপনারা সবাই ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিয়েছেন। এখন আপনাদের প্রশ্ন তাহলে আমার কোটি টাকা কই? পাবেন, অবশ্যই পাবেন। শুধু দরকার ধৈর্য আর পরিশ্রমের। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেই স্কিলটা অর্জন করেছেন সেটাকে কাজে লাগিয়েই আপনি কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ব্লগিং এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটা আপনি শিখেছেন। 

এখন আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন; ফাইবার, আপ ওয়ার্ক ও অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে কাজ খুঁজতে হবে। এই ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আপনাকে পেমেন্ট করা হবে ডলারের। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনি প্রতিটা কাজের জন্য মিনিমাম ১০০ ডলার চার্জ করবেন। প্রথমের দিকে আপনার ইনকাম একটু কম থাকবে। প্রায় ১০০০ ডলারের কাছাকাছি যা টাকায় এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকার সমান। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম

অনলাইনে কোটি টাকা আয় করার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম। বর্তমান সময়ে মানুষজন তাদের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে ব্যয় করে। এই জেনারেশন টা এরকম যে তারা কোন কিছু নিজে থেকে করতে যায় না। অনলাইনে খাবার থেকে শুরু করে অনেক কিছুই ইন্টারনেট ভিত্তিক হয়ে গেছে। 

তাই এটাই সোনালী সময় ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে টাকা আয় করার। আজ আমরা এরকমই আরেকটি ইনকাম সোর্স নিয়ে আলোচনা করব। এখন আমাদের আলোচনার অংশ হল এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কিভাবে কোটি টাকা আয় করা যায়। 

আমরা যেটা নিয়ে কাজ করব,  তার আগে আমাদের জানা দরকার এফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি? ধরুন আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে অথবা ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল আছে।যেখানে আপনার মোটামুটি ভিউয়ার্স আছে। যারা আপনাকে প্রতিনিয়ত ফলো করে। আপনি আপনার এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কোন প্রোডাক্টের রিভিউ দিবেন। 

ধরে নেই, আমরা একটা মোবাইল ফোনের রিভিউ দিচ্ছি। এখন এই মোবাইল ফোনের ভালো মন্দ সবকিছু বলার পরে, বললাম আমার দেওয়া লিংকে ক্লিক করে আপনারা এই মোবাইল ফোনটি কিনতে পারেন। এখন যদি কেউ আপনার লিঙ্কে ঢুকে মোবাইল ক্রয় করে তাহলে আমরা মোবাইল কোম্পানি থেকে কিছু টাকা কমিশন পাব। 

এই ব্যাপারটাই যদি বড় বড় কোম্পানি যেমন; amazon, alibaba এরকম আরো ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট গুলোতে আপনি অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন, তাহলে অনেক বেশি ইনকাম করা যায়। মোটামুটি যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বুঝে তাদের মাসিক ইনকাম প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার ডলারেরও বেশি। তাহলে বুঝতেই পারছেন একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের ইনকাম কত। 

ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের উপায়

যেহেতু বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করা অনেকটাই সহজ। তাই যাদের অতটা স্কিল নেই তারাও কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইন প্লাটফর্মে সবচাইতে সহজ ও তাড়াতাড়ি ইনকাম করার মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা। আজকে আমি আপনাদের বলব ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে অনেক টাকা আয় করবেন। 

কোটি-টাকা-আয়-করার-উপায়

এর জন্য আপনাকে যেটা করতে হবে তা হল, একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলুন। ওয়েবসাইট তৈরি করা খুব কঠিন ব্যাপার না। ইউটিউবে গিয়ে যদি সার্চ করেন যে কিভাবে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। দেখবেন হাজার হাজার ভিডিও চলে এসেছে। এবার আপনাকে ডোমেইন কিনতে হবে। ধরুন আপনি কোন একটা আইটি সেন্টার থেকে ডট কম যুক্ত ডোমেইন ক্রয় করলেন ও সম্পূর্ণ সেটাপ করে নিয়েছেন। 

এখন আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেছে। তাহলে কি এখনই ইনকাম শুরু? না ! একটু ধৈর্য ধরুন।অবশ্যই ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনাকে যেটা করতে হবে, যেহেতু আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট তাই আপনাকে এই ওয়েবসাইটে কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে। আর্টিকেল লেখা খুব কঠিন ব্যাপার না। 

কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করার পর আপনার ওয়েবসাইটে যখন মোটামুটি ট্রাফিক আসা শুরু করবে। তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করে দিন। কয়েকদিনের মধ্যে এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যাবে। এখন থেকেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে গেছে। এখন আপনাকে নিয়মিতভাবে আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস যাওয়ার পর দেখবেন আপনার ইনকাম দাঁড়িয়েছে 1000 ডলার এক মাসে। এক বছর পর এই ইনকাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ ডলারে পৌঁছাবে। 

ইউটিউব মার্কেটিং থেকে ইনকামের উপায়

অনলাইন থেকে কোটি টাকা আয়ের আরেকটা জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইউটিউব মার্কেটিং। আপনাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে ইউটিউবের নাম শোনেনি কখনো। ইউটিউব এতটাই জনপ্রিয় যে কেউ কোন সমস্যায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ইউটিউবে তার সমাধান খুঁজতে যাই। আর সমস্যার সমাধান পাওয়াও যায়। 

ইউটিউবে আপনারা যে ভিডিও গুলো দেখতে পান সেগুলো আপনাদের দেখতে কোন টাকা লাগে না।তাহলে একবার চিন্তা করুন যারা ভিডিও গুলো দিচ্ছে তাদের কি লাভ। লাভ ছাড়া কেউ কোন কাজ করে না। আসলে তারা ইউটিউব কোম্পানি থেকে টাকা পায়। এই টাকা আপনিও পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ ০২  

জানতে হবে কিভাবে কাজ করলে ইউটিউব থেকে টাকা কামানো যায়। এর জন্য আপনার যেটা প্রথম করা দরকার তা হলো, একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলুন। এরপর নিয়মিতভাবে আপনার চ্যানেলে মানসম্মত ভিডিও আপলোড করতে থাকুন। ইউটিউব এর কমিউনিটি গাইডলাইন ফলো করে ভিডিও ক্রিয়েট করুন। 

ইউটিউবের দেওয়া শর্ত যখন আপনার পূরণ হবে। আপনি তখন থেকে আয় রোজগার করতে পারবেন। আপনার এই ইনকাম কতটুকু হবে তা নির্ভর করছে আপনার পরিশ্রমের উপর। আপনি যত ভালো কনটেন্ট বা ভিডিও বানাতে পারবেন তার উপর নির্ভর করে এই ইনকাম। মোটামুটি যারা ইউটিউবে ভিডিও বানায় তাদের মাসিক ইনকাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ ডলার। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে ইনকাম

আপনাদের মধ্যে কেউ ফেসবুক , টুইটার, whatsapp চেনেন না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।আপনাদের প্রত্যেকেরই দুই তিনটা না থাকলেও একটা করে আইডি ফেসবুকে অবশ্যই আছে। আপনারা মাঝেমধ্যেই দেখবেন অনেকে ইনফ্লুয়েঞ্জারদের। যারা অনেক সাক্ষাৎকারে বলে তাদের মাসিক ইনকাম ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। 

আপনারা ভাবছেন এত টাকা কই থেকে কামায় তারা। আমরা কি পারবো না এত টাকা ইনকাম করতে? আমি বলব হ্যাঁ , আপনারা অবশ্যই পারবেন। এর জন্য আপনাদের আগে জানতে হবে পরে কাজ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মধ্যে সবথেকে সহজ পন্থায় ইনকাম করা যায় ফেসবুকে।তাই এখন আমি আপনাদেরকে বলবো ফেসবুক থেকে সহজে ইনকামের উপায়। 

ফেসবুক থেকে ইনকামের জন্য আপনাদের সর্বপ্রথম একটা পেজ ও একটা আইডি থাকতে হবে।অবশ্যই এই ফেসবুক পেজ ও আইডির পাসওয়ার্ড কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এরপর আপনাকে প্রত্যেকদিন ভালো মানের কনটেন্ট বানিয়ে ফেসবুক পেজে ছাড়তে হবে। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ভিউয়ার্স বাড়ছে। 

আরও পড়ুনঃ০৩ 

মাত্র এক মাস পরিশ্রমের ফলে দেখবেন আপনি ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন পেয়ে গেছেন।এখন আপনার পেজটি ইনকামের জন্য প্রস্তুত। এখন থেকে আপনি আপনার ফেসবুক পেজে যে ভিডিও বা পোস্ট শেয়ার করবেন তার এনগেজমেন্টের উপর ভিত্তি করে ইনকাম হবে। মাত্র এক মাস কষ্টের ফলে আপনি কয়েকশো ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার পেজের বয়স এক বছর হতে না হতেই দেখবেন আপনার ইনকাম ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে গেছে। যা টাকায় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকার মত। তাহলে বুঝতেই পারছেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়। 

ই-কমার্স বিজনেস তৈরি করা

অনলাইন থেকে ইনকাম করার আরেকটি উৎস হল ই-কমার্স বিজনেস দাঁড় করানো। আপনারা অনেকেই ভাবছেন ই-কমার্স বিজনেস আসলে কি। সংক্ষেপে যদি কমার্স বিজনেস কে ব্যাখ্যা করা যায় তা হল, অনলাইনে ব্যবসা করাকে বুঝানো হয় ই-কমার্স বলে। আপনারা অনেকেই ঘরের বাজার, ফালাক ফুড, টেন মিনিট স্কুল সহ আরো অনেক প্লাটফর্মের নাম শুনে থাকবেন। 

কোটি-টাকা-আয়-করার-উপায়

এই প্লাটফর্ম গুলো মূলত ই-কমার্স। "ঘরের বাজারে" আপনারা পেয়ে যাবেন সকল অর্গানিক ফুড।অন্যদিকে আয়মান সাদিকের "টেন মিনিট স্কুলে" পেয়ে যাবেন সকল ক্লাসের কোর্স। এই প্লাটফর্ম গুলোর মাসিক ইনকাম অনেক টাকা। 

আপনারাও চাইলে এরকম বিজনেস প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারেন। এর জন্য আপনাদের ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল এবং একটি ওয়েবসাইট এর দরকার পড়বে। যেখানে আপনি মানুষকে বোঝাবেন যে আপনার কাছে একটা প্রোডাক্ট আছে যা মানুষের দরকার।  এবং এই প্রোডাক্ট কেউ কিনতে চাইলে নিচের দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন। 

এরকমভাবে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলে আপনারাও ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাদেরকে নিয়মিত কাজ ও পরিশ্রম করতে হবে। প্রথমের দিকে ইনকাম কম হলেও ধৈর্য ধরলে কিছুদিন পর তার কয়েকগুণ হয়ে যাবে।

শেয়ার বাজার থেকে ইনকাম

আপনাদের কম বেশি অনেকের শেয়ার বাজারের সাথে পরিচিত। বর্তমান সময়ে এসে শেয়ার বাজার অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শেয়ার বাজার মূলত একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনারা ইনভেস্ট করতে পারেন। মানে আপনাদের কাছে এরকম টাকা থাকতে হবে যা আপনারা হয়তো সঞ্চয় করছেন। 

শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করা অনেক রিস্কি। যারা শেয়ার বাজার সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান রাখেন না তাদের এই প্লাটফর্মে এন্ট্রি করা ঠিক হবে না। শেয়ার বাজারের অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে। সেগুলো মেনে এইখানে ইনভেস্ট করতে পারলে, আপনি রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন। 

তবে অনেককেই দেখেছি যারা শেয়ারবাজারে ইনভেস্ট করে ফকিরও হয়েছে। সিদ্ধান্ত আপনাদের। তবে আমার পরামর্শ থাকবে এই প্লাটফর্ম যেহেতু সবার জন্য না, তাই ভাবনা চিন্তা করে ইনভেস্ট করবেন।তাহলে আপনাদের টাকা নিরাপদ থাকবে। 

অফলাইন ব্যবসায় কোটি টাকা আয়ের উপায়

অনেক তো অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের উপায় দেখলাম। চলুন এবার অফলাইন থেকে কিভাবে কোটি টাকায় আয় করা যায় তার উপায় গুলো জেনে নিব। এক দশক আগে, মানুষ ইন্টারনেট নির্ভর ছিল না। তারা সবকিছু অফলাইন থেকেই ক্রয় - বিক্রয় করত। আজকে আমি আপনাদের এরকমই কিছু আইডিয়া শেয়ার করব যেখান থেকে আপনারা কোটি টাকা আয় করতে পারেন। 

আপনারা চাইলে ফ্লাট ক্রয় - বিক্রয় বিজনেস করতে পারেন। ধরুন আপনি, একটি জায়গা ক্রয় করলেন। তারপর ওই জায়গায় দশ তলা ভবন নির্মাণ করলেন। প্রত্যেকটা ফ্লোরে দুইটা করে ইউনিট বানালেন। এরপর আপনি এ ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি করতে লাগলেন। দেখবেন অনেক বড় অংকের মুনাফা আপনি অর্জন করেছেন। 

আবার কেউ চাইলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিজনেস করতে পারেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিজনেসে ব্যাপক লাভ। অর্থাৎ আপনি নিজেই একটা ইন্ডাস্ট্রি খুলে ফেলুন। এরপর আপনি নিজেই প্রোডাক্ট তৈরি করুন। এবং প্রোডাক্টগুলো বাজারে সরবরাহ করুন। এক্ষেত্রে আপনার অনেক বড় অংকের টাকার প্রয়োজন হবে।যদি কারো সেরকম টাকা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ইন্ডাস্ট্রি বিজনেসে ইনভেস্ট করুন। এখান থেকে আপনি খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

লেখকের মন্তব্য সম্পর্কে জেনে নিন

উপরোক্ত আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনারা কোটি টাকা আয়ের সব পন্থাই জেনে গেছেন। তাই আমি আপনাদের নতুন করে আর কিছু বলছি না। আপনারা অফলাইন ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই টাকা ইনকামের উপায় জানতে পেরেছেন। 

তবে আমার মন্তব্য থাকবে, যদি কেউ অনলাইন অথবা অফলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চায় তাহলে অবশ্যই তার ধৈর্য পরিশ্রম থাকতে হবে। আর সেই সঙ্গে থাকতে হবে সততা। তাহলে সে কখনোই বিজনেসে লসের শিকার হবে না। এটা আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের কাছে শেয়ার করছি। 

উপরোক্ত আলোচনায় যদি আমার কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আপনাদের কাছে যদি মনে হয় কোন কিছু বাদ পড়েছে বা ঠিক করা দরকার তাহলে অবশ্যই এটা কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এতে করে আমি পরবর্তী আর্টিকেলগুলো আরো নির্ভুলভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ! 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

gotechbd এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url